টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে গত ম্যাচ যেখানে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড, সেখান থেকেই শুরু করে। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই চড়াও হন ফিল সল্ট ও অ্যালেক্স হেলস। মোহাম্মদ নওয়াজের প্রথম ওভার থেকেই আসে ১২ রান। তবে দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে ৪ ওভার ১ বলে ৩৯ রানে হেলস যখন ফেরেন ততক্ষণে ইংল্যান্ড ভালো শুরু পেয়ে গেছে। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৮ রান করেন হেলস। গত ম্যাচে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকা সল্ট ২০ রান করে ফেরেন রান আউটের ফাঁদে পড়ে।

তিন নম্বরে নামা ডেভিড ম্যালানই মূলত পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। শুরুতে বেন ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ বলে ৬২ রানের জুটি। ডাকেট ৩০ রানে রান আউট হয়ে ফিরলে চতুর্থ উইকেটে ম্যালান-ব্রুক গড়েন ৬১ বলে ১০৮ রানের জুটি। মূলত শেষ ১০ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড় ও পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিং বাবর-রিজওয়ানদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করেছে। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ম্যালান অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। হ্যারি ব্রুক ২৯ বলে করেন অপরাজিত ৪৬ রান।
এ দিন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা চড়াও হয়েছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও স্পিনার শাদাব খানের ওপর। ওয়াসিম ৪ ওভারে রান দেন ৬১। অন্যদিকে শাদাব খান ৩ ওভার ৩৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফেরেন ৮ বলের মধ্যে। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলা বাবর ক্রিস ওকসের বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ওভারেই। এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া রিজওয়ানও এদিন ফেরেন শুরুতেই, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলির শিকার হয়ে।

বাবর-রিজওয়ান দ্রুত আউট হওয়ায় ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় পাকিস্তান। খুশদিল শাহ ও শান মাসুদ পাকিস্তানকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন। তবে তাদের ৪৩ বলে ৫৩ রানের জুটি ২১০ রানের লক্ষ্যে যথেষ্ট ছিল না। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন আসিফ আলীও। এই সিরিজে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান মাসুদ সিরিজে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন, কিন্তু তাতে পাকিস্তানের হার আটকায়নি।