পাঁচ প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১১১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। শিগগিরই এ ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে বলে আশা করছে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইআরডির সম্মেলন কক্ষে পৃথক পাঁচটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ইআরডির সিনিয়র সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণের মধ্যে ১০২ কোটি ২০ লাখ ডলারের ঋণ দেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের আইডিএর বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির অধীনে। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে। এ ঋণের সুদহার সোয়া ১ শতাংশ। তবে এর সঙ্গে পৌনে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ যোগ হবে। বাকি ৯ কোটি ডলারের ঋণ নিয়মিত ঋণ প্রকল্পের অধীনে তুলনামূলক বেশি সুদের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চার বছরের কম বয়সী শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের পুষ্টি সহায়তামূলক প্রকল্পে ২১ কোটি ডলার, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমানো প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার, দেশের গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়ন ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার, শহরে মশাবাহিত রোগ দমন ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পে ২০ কোটি ডলার এবং টেকসই প্রক্রিয়ায় যমুনা নদীর ব্যবস্থাপনায় ১০ কোটি ২০ লাখ ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।