ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভোট গণনা শুরুর একেবারে প্রাথমিক পর্যায় তৃণমূল কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ৪২ আসনের মধ্যে ৩০টিতে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯টি আসনে। একটিতে কংগ্রেস, তবে সিপিআইএম এই মুহূর্তে কোনো আসনেই এগিয়ে নেই।
তবে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মাত্র ১০-২০ শতাংশ অর্থাৎ প্রথম দুই বা তিন রাউন্ড গণনা হয়েছে। চূড়ান্ত গণনা শেষ হতে লাগবে অন্ততপক্ষে ১৭ রাউন্ড। ফলে নির্দিষ্টভাবে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারত সম্পর্কেই কোনো মতামত দেওয়ার সময় আসেনি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, এই বছরে ভোট গণনা ধীরগতিতে হচ্ছে। কারণ, প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হয়েছে। শুধু সেটাই নয়, এবারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, সব রকমের নিয়ম মেনে এই পোস্টাল ব্যালট গণনা করতে হবে।
পোস্টাল ব্যালট সাধারণত গণনার দায়িত্বে থাকতেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা। তিনি ফল ঘোষণা করতেন। প্রয়োজনে গণনাকেন্দ্রে উপস্থিত বিভিন্ন দলের এজেন্টরা ভোট গণনার শেষে কখনো মিলিয়ে দেখতেন। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। এবারে পোলিং এজেন্টদের গোড়াতেই নির্দিষ্ট নথিতে সই করে পোস্টাল ব্যালটের হিসাব বুঝে নিতে হচ্ছে। সেই কারণে পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে তাঁর ধারণা।
অতীতে দুপুর ১২টার মধ্যে সার্বিক চিত্র পরিষ্কার হয়ে যেত। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত সামান্য কয়েক রাউন্ডের বেশি গণনা হয়নি বলে জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যেসব আসনে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগর, যেখানে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র; তমলুক আসনে সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি আপাতত তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের কাছে পিছিয়ে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এগিয়ে রয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার ভোটে। দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা ও যাদবপুর—এই তিন আসনেই এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশে যেখানে ৭৫ শতাংশ আসন রয়েছে, সেখানে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতোই তৃণমূল কংগ্রেস এখন পর্যন্ত তাদের জেতা অঞ্চলে এগিয়ে রয়েছে।
সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এই মুহূর্তে পিছিয়ে থাকলেও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে তিনি ভালো লড়াই দিচ্ছেন। ওই আসনের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের সামান্য কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ জেলায় বহরমপুর আসনে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী আর তৃণমূলের প্রার্থী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। কেউ একবার এগোচ্ছেন তো আবার অন্যজন পিছিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ খবরে সেখানে ২০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট গণনা হয়েছে।
কলকাতা