পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সিলর ডেরেক শোলে।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ড. মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন কাউন্সিলর ডেরেক শোলে। এ সময় দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। একইসাথে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বর্তমান সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
কাউন্সিলর ডেরেক শোলে বাংলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাক্ষাৎকালে ডেরেক শোলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সাথে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন এ প্রসঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সংগ্রাম, সামরিক ও স্বৈরশাসন শাসনের কবল থেকে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান, মানবাধিকারের ব্যাপক অবনতি, ভুয়া ভোটার তালিকাসহ প্রহসনের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছেন-এর ফলে বাংলাদেশে অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।