
নিরাপদ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ন্যায্যমূল্যের চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গণ অধিকার ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের গ্রেপ্তার দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার তাঁদের গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গলাচিপা উপজেলার রতনদি-তালতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক দাদন মিয়া (৪২) ও তাঁর ছোট ভাই ইউনিয়ন শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সাগর হোসেন ওরফে দুদাকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর হোসেন রতনদি–তালতলী ইউনিয়নের ৪ ও ৮ ওয়ার্ডে ন্যায্যমূল্যের চাল বিতরণের অনুমোদিত সরবরাহকারী (ডিলার)।
উপকারভোগীদের সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার সাগর হোসেন প্রতি ৩০ কেজি চালের বিপরীতে কার্ডধারীদের কাছ থেকে ৪৫০ টাকা নিয়ে মাত্র ২৪ থেকে ২৬ কেজি করে চাল বিতরণ করছিলেন। পাশাপাশি নতুন কার্ড প্রদানের নামে প্রতিটি কার্ডধারীর কাছ থেকে আরও ২৫০ টাকা করে আদায় করছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান বলেন, সাগর হোসেন ন্যায্যমূল্যের চাল বিতরণের সরবরাহকারী ছিলেন। তিনি ও তাঁর ভাই উপকারভোগী কার্ডধারীদের চাল কম দিচ্ছিলেন। ভুক্তভোগীরা এমন অভিযোগ করলে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, পরিমাণে চাল কম দেওয়ার অভিযোগে সাগর হোসেন ও তাঁর ভাই দাদন মিয়াকে যৌথ বাহিনী আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান। এ মামলায় আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব জাকির হোসেন মুন্সি বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অভিযুক্তদের গণ অধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।