সাকিবের মনে হচ্ছিল যুদ্ধে আছেন

0
111
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান, ছবি: আইসিসি

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বিপক্ষে ‘টাইমড আউটের’ আবেদন করে রীতিমতো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সাকিব আল হাসান। সাকিবকে সমালোচনার তিরবিদ্ধ করছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাবেকেরা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনা—সাকিব ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী কাজ করেছেন।

কিন্তু বিষয়টাকে সাকিব নিজে দেখছেন একটু অন্যভাবেই। মাঠে দেশের হয়ে খেলাটা তাঁর কাছে যুদ্ধ, আর যুদ্ধে জিততে তো সবই করতে হয়! ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্চালক সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের এক প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক সেটাই বলেছেন, ‘এটা আইনে আছে। আমি জানি না এটা ঠিক নাকি বেঠিক। মনে হচ্ছিল আমি যুদ্ধে আছি। আমার একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হতো। আমাকে দলের জয় নিশ্চিত করতে হতো। সে জন্য যা দরকার তা করব। ঠিক নাকি বেঠিক, এ নিয়ে বিতর্ক হবে। যদি আইনে থাকে, তাহলে আমার এই সুযোগগুলো নিতে আপত্তি নেই।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ‘টাইমড আউট’ হন ম্যাথুস
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ‘টাইমড আউট’ হন ম্যাথুস, ছবি: এএফপি

সাকিব বলেছেন, ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করা নিয়ে যা হয়েছে, সেটা তাঁকে পরে আরও ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করেছে, ‘হ্যাঁ, এটা সাহায্য করেছে। লড়াই করার তাড়না বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি ৩৬, লড়াইটা সাধারণত সব সময় আসে না। আজ এটা একদিক থেকে সাহায্য করেছে।’

কিন্তু মাঠে ওই সময় ও রকম একটা আউটের আপিল, যেটা ক্রিকেটের ইতিহাসেই এর আগে আর কোনো অধিনায়ক করেননি, সেই চিন্তাটা কী করে এল সাকিবের মাথায়? সাকিব বলেছেন, ‘আমাদের একজন ফিল্ডার এসে বলেছে যে এই মুহূর্তে আবেদন করলে সে আউট হবে। তখন আমি আবেদন করি। আম্পায়ার আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন আমি সত্যিই আবেদন করছি কী না, আমি আবেদন ফিরিয়ে নেব কি না। আমি বলেছি, না, যদি নিয়মে থাকে, যদি আউট হয়, তাহলে আমি আবেদন করছি। ঠিক এটাই হয়েছে।’

পরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয় ওই ফিল্ডারের নাম। তবে সাকিব তাঁর নাম বলেননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.