নেপাল থেকে বাংলাদেশ ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। ভারতের মধ্য দিয়ে সেই বিদ্যুৎ যাতে বাংলাদেশে যেতে পারে, সে জন্য নেপালের প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে আজ বৃহস্পতিবার এক চুক্তি সই হয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল (প্রচণ্ড) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল বুধবার দিল্লি এসেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা পরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডও তাঁর ভাষণে এই চুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারত ছাড়াও বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য তাঁরা অনেক দিন ধরেই সচেষ্ট ছিলেন। অবশেষে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই রপ্তানির সহায়ক হিসেবে ভারতের লাভ কোথায় ও কতটা। জবাবে বিনয় কোয়াত্রা বলেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নে আঞ্চলিক উপকার কতটা হচ্ছে, সেটাই দেখা দরকার। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অঞ্চল উপকৃত হলে সেটাই হয়ে ওঠে প্রকৃত প্রতিবেশী নীতি।
বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে সহযোগিতা ভারত ও অন্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। সামগ্রিকভাবে সবাই উপকৃত হয়। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল সবাই। আমাদের এই অঞ্চলে এর প্রাচুর্য রয়েছে। সুযোগের সেই সদ্ব্যবহারে সচেষ্ট হওয়াই সহযোগিতার ধর্ম। আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন আমাদের সবার কাছে এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। সেই সুযোগ ব্যবহারে এটাই প্রথম পদক্ষেপ।’
নেপাল ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ রপ্তানি-আমদানির ক্ষেত্রে অনেক দিন ধরেই ভারতের কাছে আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সে প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ভুটানের জলবিদ্যুৎও বাংলাদেশ কিনতে আগ্রহী। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়েও সে কথা জানিয়েছেন। নেপাল চায়, বাংলাদেশ সে দেশের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করুক। বাংলাদেশও আগ্রহী।