মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আসামি ও সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণকারী ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন নিজেই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণের অবস্থা বর্ণনা করেন।
নুসরাত হত্যার ১৬ আসামিকে এদিন সকালে কারাগার থেকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুরে অসামিদের এজলাসে আনার পর আদালত সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষক পিংকু পোদ্দার, তার সহকারী রোমানা আক্তার ও পিবিআইর ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবদুল বারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। তিনি নুসরাত হত্যা মামলার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়া ছয় আসামি ও সাত সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তিনি একে একে আসামি নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন ও মহিউদ্দিন শাকিলের জবানবন্দি গ্রহণ করার তথ্য আদালতকে জানান। তার খাস কামরায় আইন অনুসারে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিশ্রাম ও চিন্তা করার সুযোগ দিয়ে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয় বলে জানান এই ম্যাজিস্ট্রেট। পরে ১৬৪ ধারায় সাক্ষী লোকমান হোসেন লিটন, জসিম উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন প্রধান, নিশাত সুলতানা, নাসরিন সুলতানা ফুর্তি, নূরুল আমিন ও মোস্তফার সাক্ষ্যের বর্ণনা দেন তিনি।
আগামী রোববার অপর ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং এ দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে জেরা করার তারিখ নির্ধারণ করে আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন।
পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, আদালত বৃহস্পতিবার আরও পাঁচ সাক্ষীকে আদালতে হাজির রাখার আদেশ দেন।