বিজ্ঞাপনের পরিমাণ কমতে থাকায় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অর্থের বিনিময়ে অ্যাকাউন্টে নীল টিক দেওয়ার কার্যক্রম চালু করে টুইটার। শুরুতে ২০টি দেশে হলেও সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে এ নিয়ম চালু করা হয়েছে। আর তাই অর্থের বিনিময়ে নীল টিক ব্যবহারে বাধ্য করতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে অ্যাকাউন্ট থেকে পুরোনো নীল টিক মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইটটি। অর্থাৎ, ইলন মাস্কের দায়িত্ব নেওয়ার আগে যুক্ত হওয়া নীল টিকগুলো অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে ফেলা হবে। তবে চালুর তিন মাস পরও অর্থের বিনিময়ে নীল টিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব বেশি আশাব্যঞ্জক নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাপ পর্যালোচনাকারী প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ার। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, নতুন নিয়মে নীল টিক চালু করে এখন পর্যন্ত আর্থিকভাবে খুব বেশি লাভবান হয়নি টুইটার। ফলে টুইটারের আয়ও হয়েছে বেশ কম।
সেন্সর টাওয়ার জানিয়েছে, প্রথম ৩ মাসে ২০টি দেশের ফোন ব্যবহারকারীদের টুইটার অ্যাকাউন্টে নীল টিক যুক্ত করে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার আয় করেছে টুইটার। এর মধ্যে বাৎসরিক নিবন্ধনকারীদের অর্থও রয়েছে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের তথ্য না পাওয়ায় প্রকৃত আয়ের পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে অর্থের বিনিময়ে নীল টিক কার্যক্রমের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা মাসে আট ডলারের বিনিময়ে নিজেদের প্রোফাইলে নীল টিক ব্যবহার করতে পারলেও আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড–চালিত ফোনে নীল টিক যোগ করতে খরচ হয় ১১ ডলার। বিশ্বজুড়ে নীল টিক কার্যক্রম চালু হওয়ায় ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে টুইটারের আয় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নীল টিকযুক্ত অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইট এবং রিটুইটগুলো অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে টুইটার। নীল টিক অ্যাকাউন্ট ছাড়া টুইটারে দুই স্তরের লগইন পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় না। শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যতে নীল টিক অ্যাকাউন্ট ছাড়া টুইটারের জরিপ কার্যক্রমেও অংশ নেওয়া যাবে না।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ