নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়বে না

0
52
নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে

বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইনের অধীন চলমান সব কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে দায়মুক্তির বিধান নামে পরিচিত এই বিশেষ আইনে ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো বহাল থাকবে। তবে চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। একই সঙ্গে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন হলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মাধ্যমে শুনানি করে মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে আজ রোববার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে এই সরকার এসেছে। বর্তমান সরকার কাজই জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, বার বার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যা দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। আমরা বাধ্য না হলে মূল্যবৃদ্ধি করব না। প্রয়োজন হলে কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে তার নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।

ফাওজুল কবির বলেন, বিশেষ বিধানের অধীনে চলমান সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগে যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ যেহেতু চুক্তি হয়ে গেছে তাই চাইলে তা বাতিল করা যাবে না। এইজন্য আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে হবে। আইনটি বাতিল করার বিষয়ে তিনি বলেন, এজন্য উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক তা হবে তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকবে।

বিশেষ আইনে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর ট্যারিফ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকারের সব কিছু বাতিল করতে হবে এমন নয়। সব কিছু পর্যালোচনা করে দেখা হবে। যেসব কাজ ভালো তা বহাল থাকবে। যেসব প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় সেগুলো বাদ যাবে। কারণ সরকারে ধারাবাহিকতা তো বজায় রাখতে হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক বিবেচনায় চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ রয়েছে তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির বলেন, সবাইকে তো ঢালও ভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। কাজের জন্য লোক লাগবে। কেউ আগে অনিয়ম করলে তাকে একটা সুযোগ দিতে হবে। আমি কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছি আগের মতো নিজেদের মন মতো কাজ করবেন তা হবে না। এখন ভাবতে হবে কোন কাজটি করলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে সে ভাবে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হবে ব্যয় সংকোচন। জনস্বার্থ ও জনপ্রত্যাশা রক্ষা করাই হবে আমাদের মূল কাজ।

গ্যাস সংকটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির খান বলেন, সামিটের টার্মিনালটি চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় জানতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.