রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় কুতুকছড়িতে নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্রে ২৭তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে । এই বিহারে অবস্থান করছেন সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অন্যতম শিষ্য ও প্রথম সেবক জ্যোতিসার মহাস্থবির ভান্তে। ১৫০ একর বনায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কষি পদক প্রাপ্ত হন তারিখ-১৪১৯বাংলা ১৩/১২/২০১৪খিঃ।

সকালে অনুষ্ঠানে স্বধর্ম দেশনা করেন শাসন রক্ষিত ভিক্ষু, বিহার অধ্যক্ষ, মেজর পাড়া শান্তিধাম বৌদ্ধ বিহার।
বিকেল পর্বের অনুষ্ঠানে স্বধর্ম দেশনা দেন জ্যোতিসার মহাস্থবির, বিহার অধ্যক্ষ নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্র ও করুণালংকার মহাস্থবির, বিহার অধ্যক্ষ জীব কল্যাণ বনবিহার ।

জ্যোতিসার মহাস্থবির ভান্তে বর্তমানে ৩৬ বছর প্রব্রজ্যা জীবন অতিবাহিত করছেন। বনভান্তের সান্নিধ্য লাভে ২৭ বছর জীবনে গৃহত্যাগ করেন এবং এজন্য তিনি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করেন । প্রধান সেবক হিসেবে বাজবন বিহারে অবস্থান করেছেন বহু বছর ধরে। তারপর সেখান থেকে এই ভাবনা কেন্দ্রে চলে আছেন। এ কথাগুলো তার দেশনাকালে বলেছেন।

অনুষ্ঠানে নির্বাণপুর বন ভাবনা কেন্দ্রে ৬ জন বিশিষ্ট পদক প্রদান করা হয়েছে। তারা ভাবনা কেন্দ্রে প্রত্যেকে বিভিন্নভাবে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটি সভাপতি ও হেডম্যান অমল কান্তি চাকমা। তিনি যারা যারা সহযোগিতা করেন সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্যে একজন মুসলিম ধর্মের মানুষের প্রতি অনুষ্ঠানে সহযোগিতর কথা উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে ধাম্মাকায়া ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বিশ হাজার বাড বা ৩০ হাজার টাকা এবং অষ্টপরিস্কার দানের উপকরণ প্রেরণ করেছেন । সেজন্য ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সুকন্ঠী সংগীত শিল্পী বর্ষা চাকমা এবং কীবোর্ডে সহযোগিতা করেন শিক্ষক ও সংগীত প্রশিক্ষক ধারাশ মনি চাকমা।
বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন পরানী চাকমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুথি চাকমা ও উর্মি চাকমা।