বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। আমরা সেই গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমরা যতক্ষণ আছি এই চেয়ারে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করে যাব
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন কোনো আপস করবে না জানিয়ে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে আমরা দায়িত্ব থেকে সরে যাব।
ইসি আলমগীর বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না, এটা বিশ্বাস করি না। আপনারা যদি হাইপোথিটিক্যালি বলেন যে, এটা সম্ভব নয়, তখন আমরা সে দায়িত্ব পালন করব না। আমরা যে কাজের জন্য শপথ করেছি, সেটা যদি না-ই করতে পারি, তাহলে এই চেয়ারে থাকব কেন?
গাইবান্ধা উপনির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনে যারা কাজ করেছিলেন, যাদের গাফিলতি পাওয়া গেছে বা যারা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি এবং সেটা মনিটরিং করেছি। কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আমরা দু–এক সপ্তাহ পরপরই মনিটর করছি। প্রার্থীর সংশ্লিষ্টতা তো আমরা বলতে পারি না। যারা জড়িত ছিল, তারা প্রার্থীর কথা বলে নাই। তারা কেন বলল না, সেটাই তো রহস্য।
দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কি-না, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, কমিশন চাইলে সেটা সম্ভব। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়। এটা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশন কতটা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তার ওপর।
তিনি বলেন, অতীতে ইসি কেন পারেনি, সেটা অতীতের কমিশন বলতে পারবে। আগের কমিশন আর বর্তমান কমিশনের মানুষ ভিন্ন। তাদের আচরণের সঙ্গে এদের আচরণ মিলবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা। নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন, তারা যেন স্বাধীনভাবে প্রচার করতে পারেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, নির্বাচনের ফলাফলে ভোটারদের ইচ্ছা যেন সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়- সেটা ইসির দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে আমাদের শতভাগ অঙ্গীকার রয়েছে। আমরা সেটা করব।
চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে ইসি সংলাপের দায়িত্ব নেবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান কি সেই দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে? আমাদের বিভিন্ন অংশীজন, সুশীল সমাজের মতামত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এখন আর হচ্ছে না। হয়তো পরবর্তী সময়ে হতে পারে। সংলাপ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হতে পারে, আবার কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও হতে পারে।