গতকাল বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের সই করা চিঠিতে সাকিবকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কমিটির প্রধানের সই করা চিঠিতে বলা হয়, সাকিব আল হাসান বুধবার ঢাকা থেকে মাগুরায় আসার সময় কামারখালী এলাকা থেকে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে ঢোকেন। তিনি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সেই খবর ও ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাকিব আল হাসান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এর জবাব দিতেই বিকেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধানের কার্যালয়ে উপস্থিত হন সাকিব আল হাসান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘প্রথমবার যেহেতু আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, তো স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি হতেই পারে আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। সব নিয়মকানুন জানব, পড়ব, বুঝব। তারপর যদি হয়, সেটা আমার দোষ হতে পারে। এখন যেটা হয়েছে, নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন ঘটনা যেন সামনে না ঘটে, বিষয়টি খেয়াল রাখব।’
সাকিবের আইনজীবী সাজিদুর রহমান জানান, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান গত ২০ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরায় রওনা দেন। এ খবর পেয়ে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা গড়াই সেতুতে সমবেত হন। তাঁরা সাকিব আল হাসানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ওখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না বা সাকিব ওখানে আসার জন্য কাউকে আহ্বানও করেননি। আইনজীবী বলেন, জবাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আগামী যে অবশিষ্ট দিনগুলো আছে, আমরা আচরণবিধি ভঙ্গ করব না। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে চলছি এবং চলব।’