সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৫২ হাজার ১৯৭। আর ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্সের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৩।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কনট্রিবিউশন (এনডিসি) অনুযায়ী, পরিবহন খাত থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণ শর্তহীনভাবে হ্রাস করার অঙ্গীকার রয়েছে। এ লক্ষ্যে ওই সময়ের মধ্যে সড়ক পরিবহন খাতে ব্যবহৃত যানবাহনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ইলেকট্রিক ক্যাটাগরিতে রূপান্তর করা প্রয়োজন।
রেলের শূন্য পদ ২০ হাজার
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রায় ২০ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। গত ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণিতে ২ হাজার ৮৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই রেলের জনবলসংকট নিরসন হবে।
সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ৮৫১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ১৪টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৯৫২টি রেলসেতু পুনর্নির্মাণ, ১৩২টি স্টেশন ভবন নির্মাণ, ২৩১টি ভবন সংস্কার, ৩৪০ কিমি রেলপথ ডুয়েল গেজে রূপান্তর এবং ১ হাজার ৩৭৯ কিমি রেলপথ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশার কাজ সম্পন্নের জন্য পরামর্শক নিয়োগে গত ১৭ জুলাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে এ সমীক্ষার কাজ শেষ হতে পারে।