নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করা ছাত্রীকে সাহসী পুরস্কার

0
497
নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে প্রশংসিত বিউটি খাতুন অতিথিদের কাছ থেকে সাহসী পুরস্কার গ্রহণ করছে।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করা বিউটি খাতুন নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সাহসী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে দুই হাজার টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড, সনদপত্র ও ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনী’ বইটি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিউটি খাতুনকে এ সম্মাননা জানানো হয়। বিউটি খাতুন উপজেলার ধানুড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, গত ২৮ জুলাই ছাত্রীটির অমতে তার পরিবার বিয়ের আয়োজন করেছিল। ওই রাত ১১টার দিকে তার বাবার মুঠোফোন থেকে ফোন করে এ বিয়ে বন্ধের আকুতি জানিয়েছিল বিউটি খাতুন। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদকেও অবগত করেছিল মেয়েটি। পরে বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হবে না—তার বাবার কাছ থেকে এ মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। ইউএনও আরও বলেন, বাল্যবিবাহকে নিরুৎসাহিত করতে বিউটি খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

বিউটি খাতুন জানায়, তাদের বাড়ির জায়গাটুকু ছাড়া আর কোনো সহায়-সম্পত্তি নেই। বাবা দিনমজুরি করে সংসার চালান। চার বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে। অভাবের মাঝে পড়ালেখা করে ভালো কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে তার। এ কারণে সে বাল্যবিবাহ করতে চায় না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বিউটি কৃতজ্ঞ।

এ সময় স্থানীয় সাংসদ মো. আবদুল কুদ্দুস, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.