আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ টাইটানের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের ধারণা, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারবেন ‘টাইটানের’ ভেতরে থাকা পর্যটকরা।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়া অঞ্চলে সমুদ্রের তলদেশ থেকে যে শব্দ শোনা গেছে, তা সাবমেরিন থেকে না-ও আসতে পারে। খবর বিবিসির
আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে এক চালকসহ পাঁচজন ডুবোজাহাজটিতে যাত্রা করেন। সাধারণত সাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসতে ডুবোজাহাজটির আট ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড বলছে, রোববার সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির নিচে যাওয়ার সময় ডুবোজাহাজটিতে সাধারণত চারদিন চলার মতো জরুরি অক্সিজেন থাকে। সে হিসাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেন শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হতে পারে, তা নির্ভর করছে ডুবোজাহাজের ভেতরে থাকা আরোহীরা কী পরিমাণ অক্সিজেন খরচ করেছেন, তার ওপর।
নিখোঁজ সাবমেরিনটির উদ্ধারে কাজ করছে ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত সংস্থা। বাড়ানো হয়েছে অনুসন্ধান এলাকার সীমানা ও গভীরতা।