নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেটে আ.লীগের হামলার ঘটনায় একাধিক ব‍্যক্তি গ্রেপ্তার

0
26
নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেটে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় একাধিক ব‍্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য জানান ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা।

তিনি লিখেছেন, নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেটে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি নিয়ে যার যেমন ইচ্ছে, তেমন মন্তব‍্য করছেন। আমার নাম উল্লেখ করেও কেউ কেউ বলছেন, একটা মামলা হয়েছিল। আমি নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষ করে ফেলেছি। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ভিত্তিহীন-তথ‍্যহীন অসত্য মতপ্রকাশ করলে আমার কিছু করার থাকে না। শুধু সত‍্যটা মানুষকে জানাতে পারি। সেই হিসেবে কয়েকটি সত্য তথ‍্য জানাই।

গোলাম মোর্তোজা লিখেছেন, প্রথমত, ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেটে। আমার দায়িত্ব বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে। আমি অতিথি হিসেবে তথ‍্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, অংশ নিয়েছি, আয়োজনে সহায়তা করেছি। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার পুরো বিষয়টি নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেট লিখিতভাবে, সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে ভিডিও ফুটেজসহ নিউইয়র্ক পুলিশ, সিক্রেট সার্ভিসকে জানিয়েছে। ওয়াশিংটন দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্টেটস ডিপার্টমেন্ট এবং সিক্রেট সার্ভিসকে একইভাবে জানানো হয়েছে। দূতাবাস এবং নিউ ইয়র্ক কনস‍্যুলেট প্রতিনিয়ত বিষয়টির খোঁজ রাখছে। নিউইয়র্ক ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি উইং, নিউইয়র্ক মেয়র অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেটকে সংখ‍্যা উল্লেখ না করে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত একাধিক ব‍্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও তদন্তাধীন।

গোলাম মোর্তোজা ফেসবুক পোষ্ট

এই প্রেস মিনিস্টার আরও লিখেছেন, তৃতীয়ত, তদন্ত সম্পন্ন হলে নিউইয়র্ক কনস‍্যুলেট ও দূতাবাসকে সুনির্দিষ্ট করে জানাবে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা। তদন্তে যে অভিযোগ পাওয়া যাবে তার ওপর ভিত্তি করে মামলা করতে হবে। এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, অভিযোগ জানানো হয়েছে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রক্রিয়া। মামলা করার পর্যায় আসেনি।

তিনি লিখেছেন, ২৪ আগস্টের ঘটনা, আজ ১৮ সেপ্টেম্বর। এত সময় লাগছে কেন? এই প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ। যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত প্রক্রিয়া সাধারণভাবে সময়সাপেক্ষ। কারও প্রভাবে ‘দ্রুত’ তদন্ত হয় না। তদন্ত চলাকালীন কলস‍্যুলেট বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করাটাও শোভনীয় নয়।

গোলাম মোর্তোজা লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত মানবতাবিরোধী অপরাধী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোষের কোনো ঘটনা ঘটে নাই, কারও সেই সুযোগ নাই,আমার তো নাই-ই। আমি বা অন‍্য যে কারও পক্ষে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে তদন্তাধীন বিষয়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপোষ করার বা তদন্তকারীদের প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নাই, এটা বাংলাদেশ নয়-ভিত্তিহীন অসত‍্য মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমরা সম্ভবত তা ভুলে যাচ্ছি।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, তদন্তের সর্বশেষ তথ‍্যসহ নিউইয়র্ক কন‍্যুলেটের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হবে। এখানে আপোষ বা গোপনীয়তার কোনো সুযোগ নেই।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.