নারী বিশ্বকাপে ফিফার কাছ থেকে টাকা পাবেন খেলোয়াড়েরাও

0
221
ফিফা নারী বিশ্বকাপের ট্রফি ফিফা

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আগামী ২০ জুলাই শুরু হবে নারী বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য নতুন এক আর্থিক মডেল প্রণয়ন করেছে। এই মডেলের অধীনে নারী বিশ্বকাপের অংশগ্রহণকারী দলগুলো, এমনকি প্রত্যেক খেলোয়াড় বিভিন্ন ধাপে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কার পাবেন।

ফিফা নিজেদের ওয়েবসাইটে নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো ও তাদের খেলোয়াড়দের অর্থ পুরস্কারের এই নতুন মডেল প্রকাশ করেছে। ফিফা জানাচ্ছে, এটি নারী ফুটবলের উন্নয়নে তাদের বড় এক পদক্ষেপ। এটি নারী ফুটবলারদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে সহায়তা করবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

ফিফার নতুন এই আর্থিক মডেল শুধু অংশগ্রহণকারী দলগুলোকেই আর্থিকভাবে লাভবান করবে না, এর ফলে প্রথমবারের মতো প্রতিটি দলের খেলোয়াড় ও অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফরা ব্যক্তিগতভাবে অর্থ পাবেন। গ্রুপ পর্যায়ে খেলোয়াড়েরা সবাই কমপক্ষে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার করে পাবেন (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ লাখ টাকার বেশি)। শেষ ষোলোতে গেলে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৬০ হাজার ডলার। একইভাবে কোনো দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে অঙ্কটা দাঁড়াবে ৯০ হাজার ডলার।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় তাঁদের জাতীয় ফেডারেশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত অন্য পুরস্কার বাদ দিয়েও একেকজন ফিফার কাছ থেকে পাবেন ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার করে, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি। রানার্সআপের ক্ষেত্রে এই অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৯৫ হাজার ডলার। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলের ক্ষেত্রে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। চতুর্থ স্থান পাওয়া দলের খেলোয়াড়েরা পাবেন ১ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার করে।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিটি ফিফার কাছ থেকে অংশগ্রহণ ফি পাবে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে। শেষ ষোলোতে কোয়ালিফাই করা দলগুলোর ক্ষেত্রে এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। কোয়ার্টার ফাইনালের ৮ দল পাবে ২১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ৩০ লাখ ১৫ হাজার ডলার। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জনকারী দল পাবে যথাক্রমে ২৬ লাখ ১০ হাজার ডলার ও ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ডলার।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘নারী ফুটবলে সর্বোচ্চ বেতন বছরে ১৪ হাজার মার্কিন ডলার। আমরা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে দিচ্ছি ৩০ হাজার ডলার। এটা খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার ও জীবনে অর্থবহ প্রভাব রাখবে। পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.