প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন তিনটি রেলপথ উদ্বোধন করেছেন। এতে রেলওয়ের তিন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হওয়া আরও ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেলপথ যুক্ত হলো।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী-রূপপুরসহ তিনটি রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের জন্য নির্মিত রেলপথসহ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনও চালু হলো।
এসব প্রকল্পের মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর রেলস্টেশনটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালপত্র ও যন্ত্রপাতি আনার সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী-রূপপুরে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়েছে। এ স্টেশনটি চালু করতে ৩৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ২৬ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত লাইনটিতে ট্রেন চলাচল প্রায় ৩৫ বছর ধরে বন্ধ ছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীত করতে আখাউড়া-লাকসাম সেকশনে ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন করা হচ্ছে। ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির কাজ ৯ বছরেও শেষ হয়নি। এ রুটের কসবা থেকে মন্দবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
অন্যদিকে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করছে সরকার। গেল ১৪ বছরে ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অলাভজনক অ্যাখ্যা দিয়ে রেলকে বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপি।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর।