বিদায় ২০২৩। বিগত বছরে র্যানসমওয়্যার হামলায় নাকাল হয়েছে বাংলাদেশ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে আক্রমণে নতুন ঝুঁকিতে আগাম সতর্ক হতে হবে ২০২৪ সালে।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিক্যাফ) সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি সেবা খাতকে টার্গেট করেছিল সাইবার দুর্বৃত্তরা। আক্রমণের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিথিলতা, অজ্ঞতা ও নেটিজেনদের জীবনধারায় সচেতন না থাকাই বড় ত্রুটি হিসেবে দৃশ্যমান হয়। তাই ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যবসায়িক— প্রতিটি স্পর্শকাতর তথ্য সুরক্ষিত রাখার চ্যালেঞ্জকে সম্মিলতভাবে মোকাবিলা করতে হয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
সিক্যাফ সূত্র বলছে, সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা ও সব প্রস্তুতি আক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ বা শক্তিশালী সুরক্ষা প্রটোকল সরবরাহ করতে হবে। সামনে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা ফিশিং পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিক্যাফ) উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিরপত্তার ব্যাপারে বাড়তি সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রযুক্তির প্রায় ৯৮ ভাগই বিদেশিদের তৈরি। তাই আমাদের ওপেন সোর্স প্রযুক্তির ব্যবহার, কাস্টমাইজ সফটওয়্যার ও অ্যাপ বানিয়ে সাইবারওয়্যারে নিজেদের সুরক্ষার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের তথ্যপ্রযুক্তি কনফিগার করার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রিকেও সঙ্গে নিতে হবে। তা ছাড়া দেশি সফটওয়্যার ও অ্যাপ তৈরিতে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিতে হবে।


















