বিবিসির বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা, সমন জারি দিল্লি হাইকোর্টের

0
121
দিল্লি হাইকোর্ট

আয়কর ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগের পর বিবিসির বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা হলো। সেই মামলায় উপস্থিত হওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্ট  এবার সমন জারি করেছে বিবিসিকে। আজ সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত এ বিষয়ে বিবিসিকে নোটিশ দিয়েছেন। মানহানির মামলা নিয়ে বিবিসিকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।

বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে গুজরাটভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’। তাদের অভিযোগ, গুজরাট দাঙ্গার ওপর বিবিসি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে দুই পর্বের যে তথ্যচিত্র তৈরি ও সম্প্রচার করেছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চরিত্র কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। তাঁর পাশাপাশি অসম্মান করা হয়েছে ভারত ও দেশটির বিচারব্যবস্থাকেও।

বেসরকারি সংগঠনের হয়ে আইনজীবী হরিশ সালভে হাইকোর্টে বিচারপতির এজলাসে বলেন, দুই পর্বের ওই তথ্যচিত্রে ভারতের ভাবমূর্তির পক্ষে অসম্মানজনকই শুধু নয়, দেশের বিচারব্যবস্থাকেও হেয় করা হয়েছে।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি দুই পর্বের ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে গত বছরের শেষে। তথ্যচিত্রটির মূল প্রতিপাদ্য, গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন রাজ্য সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। ওই দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে সহায়তা করেছিল।

ভারতে দেখানো না হলেও ভারত সরকার ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারে বাধা দেয়। সব সামাজিক মাধ্যমকে সে বিষয়ে নির্দেশ জারি করে। অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যাঁরা নির্দেশ উপেক্ষা করে তথ্যচিত্রটি দেখানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি শুরু হয় বিবিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত।

এই বছরের গোড়ায় আয়কর বিভাগ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে তল্লাশি চালায়। মে মাসের শুরুতে শাসক দল বিজেপির এক নেতা দিল্লির নিম্ন আদালতে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, ওই তথ্যচিত্রে বিজেপি, আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো দল ও সংগঠনের বদনাম করা হয়েছে। এবার ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ সরাসরি দাবি জানাল, ওই তথ্যচিত্র প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মানহানি করেছে।

লন্ডনে বিবিসির মূল অফিসের সঙ্গে ভারতীয় অফিসের কর্তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.