রংপুরে ধর্ষণে এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা হাজীরহাট থানায় মামলা করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে কেউ কেউ বললেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে রংপুর নগরীর নজিরেরহাট এলাকার সোনার বাংলা নার্সারি দেখাশোনা করতেন সদর উপজেলার চন্দপাট ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর সরদারপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৫৫)। সেখানে রান্নার কাজ করতেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা। মায়ের কাজের সুবাদে ওই মেয়ে নার্সারিতে যাতায়াত করত। এরই মধ্যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে তোফাজ্জল হোসেন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে প্রচার হতে থাকে। এরই মধ্যে ১৬ আগস্ট নার্সারিতে তোফাজ্জল হোসেনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তিনি কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়। গত ১৮ আগস্ট ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করলেও তাতে তোফাজ্জলকে আসামি করেননি।
বুধবার হাজীরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মেয়েটির মা থানায় এসে অজ্ঞাতপরিচয়দের নামে মামলা করেন। ধর্ষিত হওয়ার পরও মেয়েটি বাড়ির কাউকে জানায়নি। এক পর্যায়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। কীটনাশক পান করে ধর্ষকের আত্মহত্যার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত ছাড়াই তোফাজ্জলের দাফন হয়েছে কি-না এ ব্যাপারে হাসপাতাল থেকে আমরা কোনো খবর পাইনি।
চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তোফাজ্জল হোসেনকে একজন ভালো ব্যক্তি হিসেবে জানতাম। তিনি নার্সারিতে কাজের পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল চৌধুরীর বাসায়ও কাজ করতেন। নার্সারিতে কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ও আত্মহত্যার ব্যাপারটি সন্দেহজনক। সুষ্ঠু তদন্ত হলে রহস্য বেরিয়ে আসবে।