ধর্ষণ মামলার আসামি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম ফারুককে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে আছেন। পুলিশ বলছে, তাকে গ্রেপ্তার করতে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু পাওয়া যায়নি।
গোলাম ফারুক রাজধানীর পল্লবী এলাকার এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে প্রায় দেড় মাস ধর্ষণ করে আসছিলেন। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার নিজস্ব ফ্ল্যাটে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করতেন। সম্প্রতি মেয়েটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। এর পরই গত বৃহস্পতিবার তরুণী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মোবাইল ফোনে রং নম্বরে চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। পরে মেয়েটিকে বাসা দেখানোর নাম করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান গোলাম ফারুক। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। বিয়ের প্রলোভনে পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তাকে।
ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, মামলার পর থেকেই গোলাম ফারুককে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।