ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে এ পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি কেন্দ্রে অনিয়ম ধরা পড়ে। অনিয়মের বিষয়টি দেখা মাত্রই নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা টেলিফোনে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে বলেন, ‘দ্রুত অ্যাকশনে যান, প্রয়োজনে তাকে গ্রেপ্তার করুন’।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সিটি নির্বাচনের ১০০ নম্বর কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরায় এ অনিয়ম দেখতে পান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ১০০ নম্বর কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে পাঞ্জাবি পরা একজন লোক বসে আছেন। তিনি কারও কথা শুনছেন না। তিনি বেরও হচ্ছেন না। ভোটারদের জোর করে ভোট দেওয়াচ্ছেন। তার কারণে ভোট গ্রহণে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত অ্যাকশনে যান, প্রয়োজনে তাকে গ্রেপ্তার করুন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজের চিত্র মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকেন। সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত একটি কেন্দ্র ছাড়া আর কোনো কেন্দ্রে অনিয়মের চিত্র পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ছাড়াও আরও চারজন নির্বাচন কমিশনার সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থাপিত ওই কক্ষে দুই ঘণ্টা পর পর কিছু সময়ের জন্য সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে। কেন্দ্রগুলোতে ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর ফলে সবগুলো কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনরা। এ ক্ষেত্রে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বড় পর্দায় ভোটের পরিস্থিতি দেখছেন ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখতে পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এসব ক্যামেরা দিয়ে গোপন কক্ষ ছাড়া পুরো কক্ষে কী হচ্ছে, তা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া ভোটকক্ষের বাইরে ভোটারদের সারি যেখানে থাকবে, সেখানেও ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামেরাগুলো দিয়ে ভোটের পুরো চিত্র দেখা যাচ্ছে।