জার্মানির বার্লিনে চার দিনব্যাপী ১৫তম কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলন শনিবার শেষ হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ খাদ্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। এই পরিস্থিতিতে সংকটকালীন খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ু সহনশীল খাদ্য, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং টেকসই বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়। কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনা করে একটি যৌথ ইশতেহারও ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নির্দোষ ও ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। এ যুদ্ধের ফলে সারের দাম চারগুণ বেড়েছে। বেড়েছে খাদ্যশস্যের দামও। খাদ্য নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব নিরসনে উন্নত বিশ্বকে নমনীয়, সহজ ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য ও কৃষি উপকরণকে যুদ্ধ-অবরোধের বাইরে রাখারও প্রস্তাব দেন মন্ত্রী।
জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (জিএফএফএ) শেষ দিনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার ও বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুযায়ী বৈশ্বিক ক্ষুধা নিরসন (জিরো হাঙ্গার) করার কথা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো-ক্ষুধায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০২১ সালে ৭০ কোটি ২০ লাখ থেকে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৪ কোটি ৬০ লাখ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ১৫ কোটি বেশি। প্রজাতি বিলুপ্তি, কোভিড ১৯ আর যুদ্ধ খাদ্যসংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।