
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘এখন দেশে ৫০টি মিডিয়া থাকলে ৪০টিতেই প্রভাব খাটাচ্ছে বিএনপি।’
এনসিপির নেতার নামে নতুন টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এনসিপির জেলা সমন্বয় সভা শেষে সারজিস আলম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘কোনো একটা টেলিভিশনের অনুমোদন হয়েছে, আমরা যেটা জেনেছি সেখানে এনসিপির একজন আছেন। কিন্তু একজন দিয়ে তো টেলিভিশনের অনুমোদন পাওয়া যায় না। আমরা যেটা শুনেছি সেখানে বিএনপির লোকজনও আছেন, জামায়াতের ও স্বতন্ত্র লোকও আছেন। কেন শুধু এনসিপিকে ফোকাসড করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা চাই মিডিয়া প্রফেশনাল জায়গায় থাকুক। আপনারা (সাংবাদিকেরা) যে কথাটা বলতে চান, যে সত্যটা প্রকাশ করতে চান, তা করেন। কোনো একটা রাজনৈতিক দল যত বড়ই হোক বা ছোটই হোক, খারাপ হলে সেটা বলবেন, ভালো হলেও সেটা বলবেন।’
‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা
প্রায় ২৫ মিনিটের বক্তব্যে সারজিস আলম নওগাঁয় দেওয়া ‘মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার সেফ এক্সিট নেই’ বক্তব্যেরও ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এক মিনিটের একটি বক্তব্যকে তিনটি শব্দে প্রকাশ করলে শুনতে একটু দুর্ধর্ষ লাগে। আমরা মনে করি, উপদেষ্টারা যে দায়িত্ব পেয়েছেন, সেটা সৌভাগ্যক্রমে। আমরা তাঁদের বলতে চাই, এত রাজনৈতিক চাপ, মানুষের প্রত্যাশা—এগুলো বাদ, কোনোভাবে নির্বাচনটা দিয়ে চলে যান, তাহলে যাওয়ার পরে তাঁদের যে আশা ছিল, শান্তি পাবেন, সে শান্তিটা পাবেন না। কারণ, এটা ইতিহাসের এত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এ অধ্যায় যখনই আসবে, তখনই তিনি আলোচিত হবেন।’
আওয়ামী লীগের ফিরে আসা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘যে যেভাবেই বলুক না কেন, দেশ বা দেশের বাইরে বৈঠক হোক না কেন, আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সুযোগ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রতীক নিয়েও কথা বলেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীক না দেওয়াটা আমরা মানব না। শাপলা পেয়েই এনসিপি নির্বাচন করবে।’
সমন্বয় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান সমন্বয়কারী আলাউল হক।