দেশের ৫ এলাকায় ১৭ আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ চিহ্নিত

0
172
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন

দেশের ৫ রক্ষিত এলাকায় ১৭ প্রজাতির বিদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রক্ষিত এলাকাগুলো হচ্ছে- হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।

আজ বুধবার বন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ডেভেলপিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড লিস্ট অফ প্লান্টস অ্যান্ড ডেভেলপিং ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি অফ এলিয়েন স্পিসিজ অফ প্লান্টস ইন সিলেক্টেড প্রোটেক্টেড এরিয়াস’ শীর্ষক কর্মসূচির চূড়ান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর ১৭টি বিদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিকে চিহ্নিত করেছে। চিহ্নিত ভিনদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিগুলো সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব ব্যবস্থাপনা কৌশল জাতীয় বন ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণে এবং আমাদের টেকসই উন্নয়নে অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও আইইউসিএনের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন এ কার্যক্রমের ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব স্থাপনকারী প্রজাতির বিপণন ও বাণিজ্য প্রতিরোধ, বাস্তুতন্ত্র থেকে এদের নির্মূল এবং বিস্তার রোধ করার মাধ্যমে এ সকল ভিনদেশি আগ্রাসী উদ্ভিদসমূহ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণায় বাংলাদেশে আগ্রাসী উদ্ভিদের বিষয়টি  উঠে আসে। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে জন্মায় এমন বিদেশি উদ্ভিদ ও প্রাণীদের ৬৯টি প্রজাতি রয়েছে বলে এ গবেষণায় জানানো হয়। গবেষকরা জানিয়েছিলেন, এগুলো স্থানীয় প্রজাতির জন্য বড় বিপদ হয়ে উঠছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগ্রাসী প্রজাতির বৃক্ষ ও প্রাণীদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশীয় প্রজাতিগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.