দূষিত শহরের তালিকায় আবার শীর্ষে ঢাকা

0
181
দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকার নাম বারবার উঠে আসছে

একিউআই স্কোরে আজ সকাল পৌনে ১০টায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর (২৫৫)। তৃতীয় স্থানে ছিল বাগদাদ (২২১)। এরপরের স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর (২১৮) ও চীনের উহান (১৮৫)।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ ‘মাঝারি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১–এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও গর্ভবতী নারীদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বায়ুদূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। তিনি আজ সকালে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের উৎসগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। আবার এ সময় আবহাওয়াগত কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো এ দূষণ বাড়ায়। যেমন এ সময় আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তাপমাত্রা কমে যায়, বায়ুর চাপ বেশি থাকে। যদি দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে দূষণ কমতে পারে। কিন্তু ঢাকার বায়ুদূষণ কমাতে উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।

অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—শুষ্ক মৌসুমের এ ৪ মাসে বছরের ৬০ ভাগের বেশি বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে আবার জানুয়ারিতে দূষণের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.