যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা দুর্নীতি প্রতিরোধ, দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ ও দুর্নীতি মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, সাহস দেখিয়েছেন এবং প্রভাব রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রথম আলোতে কর্মরত রোজিনা ইসলাম বাংলাদেশে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম তুলে ধরতে গিয়ে নিগ্রহ, নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছিলেন। সাহসী সাংবাদিকতার জন্য গত বছর তাঁকে সেরা অদম্য সাংবাদিক (মোস্ট রেজিলিয়েন্ট জার্নালিস্ট) শ্রেণিতে ‘ফ্রি প্রেস অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড।
এ বছর রোজিনা ইসলামের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টিকরাপশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, কলম্বিয়ার সুপ্রিম কোর্ট অব জাস্টিসের ইনভেস্টিগেশন চেম্বারের সভাপতি মারকো আন্টোনিও রুদা সোতো, ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কিসমাহ সালি আলী মেন্দেলি, মাদাগাস্কারের কোর্ট অব অ্যাকাউন্টসের প্রেসিডেন্ট জিন দে দিউ রাকোতোনদ্রামিহামিনা, মালয়েশিয়ার সেন্টার টু কমব্যাট করাপশন অ্যান্ড ক্রোনিজমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সিনথিয়া গ্যাব্রিয়েল, মেক্সিকোর সংবাদমাধ্যম সেমিনারিও জেটার সাংবাদিক আন্টোনিও সারভেনটিস, সার্বিয়ার ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং নেটওয়ার্কের (কেআরআইকে) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক স্টেভান দোকসিনোভিচ এবং জিম্বাবুয়ের জিম্বাবুয়ে কোয়ালিশন অব ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক জ্যানেট ঝোও।
এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও স্বচ্ছতা আনতে সাংবাদিকতা যে ভূমিকা রাখছে, তার স্বীকৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রোজিনা ইসলাম। পুরস্কারটি তিনি বাক স্বাধীনতার অধিকার রক্ষায় দেশ-বিদেশে সোচ্চার ব্যক্তিবর্গ এবং কঠোরতর আইন, ভয়-ভীতি, গ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানির মধ্যেও যাঁরা সেরা সাংবাদিকতার জন্য সংগ্রাম করছেন, সেই সব সাংবাদিকের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।