দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

0
205
আওয়ামী লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন প্রধান

ময়নাতদন্তের সময় মর্গের বাইরে ছিলেন নিহত দুরন্ত বিপ্লবের ছোট ভাই দুর্জয় বিপ্লব ও তাঁর স্ত্রী নাহিদা ইসলাম। ছোট ভাই বলেন, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসা থেকে মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন দুরন্ত বিপ্লব। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৯ নভেম্বর তাঁরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

দুর্জয় বিপ্লব বলেন, চার বছর আগে তাঁর ভাই চার বন্ধুর সঙ্গে মিলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি কৃষি খামার করেছিলেন। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পুলিশের কাজ কারা, কেন, কী কারণে ভাইকে হত্যা করেছে, তা খুঁজে বের করা।

দুরন্ত বিপ্লব

দুরন্ত বিপ্লব
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল শনিবার বিকেলে দুরন্ত বিপ্লবের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার ইলাশপুর গ্রামে। তিনি কেরানীগঞ্জে ভাড়া থাকতেন।

পাগলা নৌফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী আজ রোববার বলেন, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে নদীর তীরে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। গতকাল রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লাশের ছবি দেখে সেটি নিখোঁজ দুরন্ত বিপ্লবের বলে শনাক্ত করেন তাঁর ছোট বোন শাশ্বতী বিপ্লব। দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় তাঁর পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.