মাত্র দুদিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ১৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
ভারতীয় ভূমিকম্প বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এবং ইউরোপিয়ান–মেডিটারেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে আর নরসিংদী থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবাঈয়্যাৎ কবীর গণমাধ্যমকে জানান, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুরে। এটি ছিল মৃদু মাত্রার ভূমিকম্প; রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ দশমিক ১ মাত্রার।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, লক্ষীপুর, গোপালগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সাত সকালে হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে মানুষের ঘুম ভেঙে গেছে মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার কথা জানান নেটিজেনরাও।
এর আগে, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে বঙ্গোপসাগরে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তার আগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে অনেকেই এ ভূমিকম্প অনুভব করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মিনজিন এলাকায় ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
আর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে। এটিও হালকা শ্রেণির ভূমিকম্প ছিল।
গত ২১ নভেম্বর সকালে দেশের অভ্যন্তরে তীব্র ভূমিকম্পের পর থেকেই আতঙ্কে দিন পার করছেন রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের বাসিন্দারা। নরসিংদীতে হওয়া ৫.৭ মাত্রার সেদিনের ভূমিকম্প অনুভব করেন দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ। ভূমিকম্পে মারা যান অন্তত ১০ জন। আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ। এছাড়া, প ভূমিকম্পের প্রভাবে রাজধানীর অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে; বেশ কিছু ভবন হেলে পড়েছে। এরপর ২২ নভেম্বর সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়।
















