দুই দিনে কোটি টাকার কলা বিক্রি

0
175

চুয়াডাঙ্গা সদর থেকে বদরগঞ্জ বাজারের দূরত্ব ১০ মাইল। কাকতালীয়ভাবে জায়গাটির নামও দশমাইল। ঢাকা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশে দশমাইলে বসে কলার হাট। সপ্তাহে দু’দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে কৃষক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কলা নিয়ে আসেন হাটে। এ কলার মান ভালো হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ রোজায় দাম বেশি। বিক্রিও বেশি।

প্রতি হাটে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বেশি কলা বিক্রি হচ্ছে। ব্যাপারীরা কলা কিনে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছেন মোকামে। সপ্তাহে দু’দিনে ১ কোটি টাকার বেশি কলা বিক্রি হচ্ছে হাটে।

হাটে চিনিচাঁপা, বগুড়া সবরি, মেহের সাগর, কাঁঠালি, বাইশ ছড়িসহ বিভিন্ন রকমের কলা পাওয়া যায়। কলার জাত ও প্রতি কাঁদির (ছড়ি) আকার অনুযায়ী ৩৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সপ্তাহে দু’দিন প্রায় ৪০-৪৫ ট্রাক কলা বিক্রি হয়। জেলায় এ মৌসুমে ১ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করছেন কৃষকরা।

চুয়াডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক সোহেল হুদা। তিনি এ বছর তিন বিঘা জমিতে বগুড়া সবরি জাতের কলা চাষ করেছেন। খুব ভালো ফলন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হাটে ৫০ কাঁদি কলা বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি কাঁদি ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি, দামও অনেক ভালো।

দামুড়হুদা হোগলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, দশমাইল হাটে আমরা নিয়মিত কলা নিয়ে আসি। হাটের নিরাপত্তা অনেক ভালো।

কুমিল্লা চাঁদপুরের ব্যাপারী শরিফ হাওলাদার বলেন, রোজায় কলার দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ট্রাক বোঝাই করে কলা ঢাকা, সাভার, কুমিল্লাসহ দেশের বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি।

হাটের ইজারাদার টাইগার বলেন, এ হাটের সবরিকলা বিখ্যাত হওয়ায় চাহিদা বেশি। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত হাটে কলা কেনাবেচা হয়। দশমাইল বাজার কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জানান, সঠিক দাম পাওয়ায় কৃষকরা হাটে কলা নিয়ে আসেন। কলার হাটটি অনেক পুরোনো।

কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক বলেন, হাটের পরিবেশ ভালো থাকায় কলার হাট জমে উঠেছে। রমজান মাসে কলার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। প্রতি হাটে ২০-২৫ গাড়ি কলা কিনে নেন ব্যাপারীরা। সবার সহযোগিতায় হাট সুন্দরভাবে চলছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চুয়াডাঙ্গার মাটির উর্বরতা ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় কলার ফলন ভালো হয়েছে। কলা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরাও আগ্রহ দেখান। কলাচাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.