দুই ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন

0
140
ডিজিটাল ব্যাংক, প্রতীকী ছবি

দুই ডিজিটাল ব্যাংকের সম্মতিপত্র (এলওআই) দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের নেতৃত্বাধীন ‘নগদ ডিজিটাল’ এবং দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্টি স্কয়ার ও এসিআই গ্রুপের নেতৃত্বাধীন ‘করি ডিজিটাল’ নামে দুই ব্যাংকের এলওআই দেওয়া হবে।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মোট ৫২টি আবেদন পেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই–বাছাই শেষে নয়টি প্রতিষ্ঠানের সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। তবে এখান থেকে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর বিকাশ ও ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ১০ ব্যাংকের নেতৃত্বে ডিজিটেন এবং ব্যাংক এশিয়ার নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল ব্যাংককে আলাদা লাইসেন্স দেওয়া হবে না। তবে এসব আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং খোলার অনুমোদন দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া নগদ ও করি এলওআই পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করবে। এরপর এই দু’টি প্রতিষ্ঠানের ৬ মাসের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সন্তোষজনক হলে তখন বাকি তিন প্রতিষ্ঠান এলওআই পাবে। এরা হলো– স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থেস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান–বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।

রোববার বৈঠক শেষে মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২টি আবেদন এসেছিল। এসব আবেদন মূল্যায়নে তিনটি কমিটি করা হয়। প্রাথমিক বাছাই, ব্যবসা ও কারিগরি এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই–বাছাই করে নয়টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করে। প্রযুক্তি, ব্যবসা, নিরাপত্তা এসব দেখে মোট ১০০ মার্কিংয়ের ভিত্তিতে স্কোরিং করা হয়। যেসব প্রতিষ্ঠান ৬০ বা তদুর্দ্ধ নম্বর পেয়েছে তাদের তালিকা পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিকভাবে দু’টি প্রতিষ্ঠানের এলওআই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তুত করা তালিকার নয়টির মধ্যে একটি ছিল বিমা কোম্পানি লেড। সেটিকে পর্ষদ বিবেচনায় নেয়নি। বাকি আটটির মধ্যে তিনটির সঙ্গে ব্যাংকের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের আলাদা করে লাইসেন্স না দিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিং উইং খোলার অনুমোদন দেওয়া হবে। এ ছাড়া এলওআই দেওয়া দু’টি প্রতিষ্ঠানের সফলতার ভিত্তিতে বাকি তিনটির লাইসেন্স দেওয়া হবে।

সাধারণভাবে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় ৫০০ কোটি টাকার উদ্যোক্তা মূলধন দরকার হয়। তবে ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য দিতে হচ্ছে ১২৫ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রথমে গত ২১ জুন থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় দেওয়া হয়। পরে সময় বাড়িয়ে ১৭ আগস্ট করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.