দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

0
131
দুপুর সাড়ে ১২টার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লায় আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধকারণে বন্ধ থাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়। দুপুর ১২টার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

এ বিষয়ে হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, দুপুর ১২ টার পর থেকে চট্টগ্রামগামী লেনে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। দুপুর ১ টার পর মহাসড়ক পুরোপুরি সচল হয়ে যায়।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. আবূুল মান্নান বলেন, বন্ধ থাকা চট্টগ্রামগামী লেনে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে সড়কে যানবাহনের চাপ আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা সদরে যারা ভাঙচুর ও রাহাজানিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় নেতারা বলেন, কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারীরা বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে উপজেলার মিয়াবাজার হোটেল তাজমহলের সামনে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদর, বাতিসায় এবং চিওড়ায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সমাবেশ আহ্বান করে। একই সময়ে সাবেক পৌর মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারীরাও মহাসড়কে জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মিছিল করার ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। অন্যদিকে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ ছাড়া চৌদ্দগ্রাম বিসিক গেট এলাকায় একটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে সাবেক মেয়র মিজান গ্রুপের মঞ্জুর আজাদ,পরাশ উদ্দিন রিপন এবং সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারী বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন, আবুল হাশেম মেম্বার ও লিমন চৌধুরী আহত হয়েছেন। অন্যদের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের লোকজন জামায়াত শিবির নেতাদের নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে এসেছিল। তাই আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.