দীপু মনির ৪ ও জয়ের ৫ দিনের রিমান্ড

0
57
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলিবর্ষণে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনির চার দিন এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
 
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার।
 
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল-সমাবেশ করে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছি। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানি আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
 
মামলার আরজিতে বলা হয়, নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ মামলা করা হয়েছে।
 
জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এ মামলার আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন। সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করেছেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
 
মামলার অভিযোগে আমীর হামজা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার জন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীন পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।
 
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দীপু মনি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আর ২০১৯ সাল থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হন।
 
অন্যদিকে, আরিফ খান জয় ২০১৪ সালে নেত্রকোণা-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সাবেক পেশাদার এই ফুটবলার ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.