দিল্লির ভয়াবহ বায়ুদূষণে হোটেলবন্দি দল

0
160

পাশের রাজ্য হরিয়ানা থেকে ডিজেলচালিত মোটর গাড়ি আসা নিষেধ, আগামী দুই সপ্তাহ শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কনস্ট্রাকশন কাজও বন্ধ রাখার অনুরোধের পাশাপাশি গতকাল দিল্লির ঘোষণা আগামী দু’দিন বন্ধ থাকবে প্রাথমিক স্কুলও। দিল্লির বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে এর চেয়ে বেশি আর কী কী করা যায়, তা নিয়ে নাকি ভাবছে এখানকার রাজ্য সরকার। তবে আপাতত স্মগ (ধোঁয়া আর কুয়াশায় আবছা অন্ধকার অবস্থা) থেকে বাঁচতে হোটেলবন্দি বাংলাদেশ দল। গতকাল বাতিল করেছে তারা নির্ধারিত অনুশীলন সেশন। যদিও কোন কারণে বাতিল হয়েছে, তা অফিসিয়ালি জানানো হয়নি। তবে দলের সঙ্গে থাকা এক সদস্য জানিয়েছেন, দিল্লির এমন আবহাওয়ার মধ্যে মাঠে কাউকে নিয়ে যেতে চাননি কোচ।

গতকাল দিল্লির গড় বায়ুমান ছিল একিইউ ৩৪৬। সাধারণত এটা সাড়ে তিনশ হলে সেটা প্রত্যক্ষ শারীরিক ক্ষতির কারণ হয়ে ধরা দেয়। চোখ জ্বালা করা, গলাব্যথা করা ছাড়াও হাঁচি কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এদিন অবশ্য দলের কয়েকজন হোটেলের পাশে নামাজ পড়তে বেরিয়েছিলেন। তবে তাদের নাগাল পায়নি ঢাকা থেকে আসা ক্যামেরাগুলো। কেননা সেগুলোর অনেকেই অপেক্ষা করেছিল দিল্লির জামে মসজিদে, কিন্তু সেখানে যাননি ক্রিকেটাররা। সেই ভিডিও ফুটেজ না পাওয়ার আক্ষেপ মেটাতে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এসেছিলেন স্বদেশি মিডিয়ার সামনে।

এদিকে কাল ভারতের কাছে ৩০২  রানে হেরে যাওয়ার পর একরকম মুখ ঢেকেই দিল্লিতে পা রেখেছেন লঙ্কানরা। কলম্বোর এক সাংবাদিক বন্ধু জানালেন, এই শ্রীলঙ্কা দলের আর কোনো ধার নেয়, যে কোনো দলই তাদের হারাতে পারবে। নিজের অনুভূতি না জানিয়ে তাঁর জানতে চাওয়া একটি তথ্য দিতে হলো। হ্যাঁ, লিটন দাস ঢাকা থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছেন। দলের সঙ্গে আছেন এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্যই নামবেন তিনি। দু’দিনের ছুটি অবশ্য আরও একদিন বেড়েছিল বাংলাদেশ দলের। লিটন চাইলে হয়তো আরেকটা দিন থাকতে পারতেন ঢাকায়। কেননা গতকাল দুপুরে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দিনের নির্ধারিত অনুশীলন হচ্ছে না। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নাকি মনে করেন, ম্যাচের আগে দু’দিনের প্র্যাকটিসই যথেষ্ট। অন্তত এমন একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। দিল্লির বায়ুদূষণের কথা বলা হয়নি। অবশ্য টুর্নামেন্টের মাঝে এমন একটি বিষয় হয়তো সামনেও আনতে চাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।

তার চেয়ে বরং হোটেলে থেকেই বিধ্বস্ত লঙ্কা বধের কৌশল ঠিক করাই ভালো। আগের দিন তাসকিনরা দেখেছেন কীভাবে শামি ও সিরাজের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে লঙ্কানরা। সাকিবরাও দেখেছেন, কীভাবে ৫৫ রানে অলআউট হয়েছেন কুশল মেন্ডিসরা। ওই ম্যাচে লঙ্কানদের খুঁটিনাটি দুর্বলতাগুলো নোটবন্দি করে রাখা হয়েছে নিশ্চয়। তবে এটাও নিশ্চয় তাদের জানা, দিল্লির এই অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ খেলে গেছে লঙ্কানরা। সেই ম্যাচে ৩২৫ রানও করেছিল তারা। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার ৪২৮ রানের সামনে তা ছোটই দেখিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.