উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের আগে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত করা হয়। আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান জায়গায় জায়গায়।
আম আদমি সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছর দিল্লির আবগারি নীতি বদল করা হয়। সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে মদ বিক্রির বেসরকারীকরণ করা হয়। নীতি ও রীতি বদলের সেই সিদ্ধান্তের পেছনে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্তে সিবিআই এর আগে একাধিকবার উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
গত বছর সিসোদিয়ার বাড়ি, অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। খতিয়ে দেখা হয়েছিল তাঁর ব্যাংকের লকার ও বিভিন্ন নথি। তাঁর সঙ্গে ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছিল সিবিআই। ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে।
যদিও সিসোদিয়ার নাম তাতে নেই। গত রোববার তাঁকে ডেকে পাঠানো হলে তিনি বাজেট প্রস্তুতির জন্য দিনকয়েকের সময় চেয়েছিলেন। অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভার রয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠদের একজন।
এক সপ্তাহ পর রোববার তাঁকে আবার তলব করা হয়। সকালে সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চেপে সিসোদিয়া সিবিআই সদর দপ্তরে হাজির হন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সিবিআই জানায়, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিবিআই দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাওয়ার আগে উপমুখ্যমন্ত্রী সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সাত-আট মাসের জন্য জেলে গেলেও আমার জন্য দুঃখিত হবেন না; বরং গর্ব বোধ করবেন। আমি শহীদ ভগৎ সিংয়ের অনুগামী। ভয় পাই না কাউকে। উনি দেশের জন্য ফাঁসি কাষ্ঠে মাথা দিয়েছিলেন। আমি না হয় মাস কয়েকের জন্য জেলে থাকব।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান। তাই তিনি আমাকে ভুয়া মামলায় জড়িয়েছেন। আমি জেলে যাব, কিন্তু আপনারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।’ সিসোদিয়া সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার স্ত্রী প্রথম দিন থেকেই আমার সঙ্গে রয়েছেন। আজ তিনি অসুস্থ ও একা। আপনারা তাঁকে দেখবেন।’