সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ ও আজমল হোসেনের মৃত্যুর খবর সংবাদপত্রে ভুলভাবে এসেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, সম্মেলনে মারামারিতে কেউ মারা যায়নি। যে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে বলা হচ্ছে, তিনি সম্মেলনস্থল থেকে অনেক দূরে বাড়িতে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি সম্পর্কে মিথ্যা খবর না প্রকাশ করতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর বনানীতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সদর কার্যালয়ের জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অন্য অতিথিরা ইটপাটকেলের আঘাত থেকে বাঁচতে চেয়ারে মাথা ঢেকে রাখেন, এমন ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, মারামারির সময় আজমল হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুন্ত্রেী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওখানে ছোটখাটো একটা ঘটনা ঘটেছিল। বিদ্রোহীরা মঞ্চে বসা, কিন্তু পরবর্তীতে সম্মেলন সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। সকালে পত্রপত্রিকায় দেখলাম এক জন মারা গেছে! সম্মেলনের আশেপাশে কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটে নাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা লোক দুবাই থাকে, সে দেশে এসেছে৷ সে তার বাড়িতে ছিল, বাড়ি সম্মেলনস্থল থেকে অনেক দূরে। সম্মেলনে ঘটনা ঘটেছে দুপুর ১টায়। তিনটার দিকে তার পরিবার হাসপাতালে নিয়ে গেছে, সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। এর সঙ্গে সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নাই। কোনোভাবেই সম্মেলনের সঙ্গে এ ঘটনা যুক্ত না।
সাংবাদিকদের বন্ধু আখ্যায়িত করে তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এভাবে যদি নিউজ করেন পুরোপুরি অবহিত না হয়ে! যদি কেউ মারা যায় সম্মেলনে, সেক্ষেত্রে তো প্রমাণ থাকবে। স্ট্রোক করেছে, আপনারা (সাংবাদিক) খবর নেন।
সম্প্রতি ছয়টি জেলা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোথাও গোলমাল হয়েছে? কুমিল্লায় সম্মেলন থেকে অনেক দূরে পটকা ফুটিয়েছে। তাও তো সেখানে মারামারি হয় নাই।’ এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের খবরের কাভারেজের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দল হলে চারদিন আগে আসতেছে, লঞ্চে আসতেছে, নৌকায় আসতেছে পায়ে হেঁটে আসতেছে। দেন, এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) ইচ্ছা। আমাদের এগুলো বারণ নাই। এগুলো আপনাদের ব্যাপার, পত্রিকার পলিসির ব্যাপার। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে মিথ্যা খবর দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এটা আমার অনুরোধ। ইটস এ ফলস, রং। এখন আপনারা খবর নিতে পারেন। কী কারণে লোকটার মৃত্যু হয়েছে।’