আদানির কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার শুরু

0
102
আদানি গ্রুপের কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আসা শুরু হয় গত মার্চে

ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে আবার এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পিজিসিবি। সংস্থাটি মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা খান গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলেন, আজ সকাল ৯টায় আদানির কেন্দ্র থেকে দেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণ ছিল ৬০৭ মেগাওয়াট।

ঝড়ে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

পিজিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গতকাল দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে সঞ্চালন লাইনে অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রিপিংয়ের কারণে আদানির কেন্দ্র থেকে দেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পিজিসিবির প্রকৌশলীদের দ্রুত পদক্ষেপে গতকাল বিকেল ৩টা ০৬ মিনিটে লাইনটি চালু করা হয়। যাবতীয় কারিগরি প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পর গতকাল দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটে আদানির কেন্দ্র থেকে দেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

পিজিসিবি সূত্র জানায়, ঝড়ের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ কারণে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে গতকাল বিকেল ৪টায় সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪১৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট আছে। প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আসা শুরু হয় গত মার্চে। দিনে তারা গড়ে ৭৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র আরও জানায়, আদানির কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ কেন্দ্র থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আদানি ২ জুন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ। আদানির কেন্দ্রের উৎপাদন বেড়ে গেলে সেখান থেকে বাংলাদেশ মোট এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনবে বলে জানা গেছে।

পিজিসিবির তথ্য বলছে, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে দেশে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে ঢাকায় দিনে গড়ে তিন ঘণ্টা হলেও ঢাকার বাইরে কোনো কোনো জেলার গ্রাম এলাকায় ১২ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিংয়ের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.