দাম বেড়েছে সবজির, সুখবর নেই চালের বাজারে

0
45
সবজির দাম বেড়েছে
চাঁদাবাজি কমলেও এখনও ভাঙেনি বাজার সিন্ডিকেট। নানা ছুতোয় প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির কারণেই এই অবস্থা। তবে শিগগিরই এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। সব কিছুই হয়ে আসবে স্বাভাবিক।
 
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ওঠানামা করছে কাঁচামরিচের দাম। তবে ডিম ও মুরগির দাম বাজার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন। সুখবর নেই চালের বাজারে।
 
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। পটল, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকার কাছাকাছি। একইভাবে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বরবটি, করলা ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
 
তবে, কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই ক্রেতাদের। কারওয়ান বাজারে আসা বেরসকারি চাকরিজীবী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কাঁচা মরিচের দামের কোন ঠিক নেই। কোথাও ২০০ আবার কোথাও ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দিন চার-পাঁচ আগেও কিনেছি ১৬০ টাকায়।
 
প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ১০০ এবং ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও দেশি রসুন ২০০ থেকে ২১০ এবং আমদানি রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
নিয়ন্ত্রণে নেই চালের বাজার। প্রতিকেজি মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫, মাঝারি ৫৫ থেকে ৬০ এবং মানভেদে সরু চাল ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
 
আগারগাঁও কাঁচাবাজারে আসা নির্মাণ শ্রমিক আল-আমিন হোসেন বলেন, আমাদের উপার্জন কম। তাই সব কিছুই হিসেব করে কিনতে হয়। কিন্তু ইদানীং ডিমের দাম ও ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে ওঠানামা করছে তাতে এসবের দাম জিজ্ঞাসা করতেই এখন ভয় লাগে। সরকার যদি শক্ত হাতে বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙে, তাহলে আমাদের সাধারণ মানুষের কষ্ট রয়েই যাবে। দূর হবে না।
 
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে একাধিক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। অভিন্ন সুরে তারা বলেন, টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অধিকাংশ খেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরবরাহ কম। তাই দাম বেশি। তবে এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
 
ডিম ও মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সে কারণে সবাই ডিম ও মুরগির মাংসের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় কয়েকটি জেলার বহু খামার তলিয়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে চাহিদা ও উৎপাদনে। মূলত এজন্যই মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.