সব ধরনের গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার কোরবানিতে পশুর দাম বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।
তথ্যমতে, চলতি বছর ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। আর চাহিদা রয়েছে এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর। তবে, চাহিদার চেয়ে এবার পশু বেশি থাকলেও দামের বেড়াজালে পড়তে হবে ক্রেতাদের।
খামারিরা জানান, গত চার মাসে সব ধরনের গোখাদ্যের দাম কেজিতে ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইসঙ্গে গরুর চিকিৎসা ব্যয়, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। যার কারণে এ বছর গরুর দাম বাড়বে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফার্মের মালিকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েক মাসে প্রতিটি গোখাদ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয়ও বেড়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে খামার পরিচালনার ব্যয়ও বেড়ে গেছে। ফলে এবার কোরবানিতে গরুর দাম বাড়বেই।
গোখাদ্যের দোকানিরা জানান, সম্প্রতি গোখাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। গম, ভুসি ও দানাদার ফিডে প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানান, চলতি বছর সারাদেশে ৩ হাজার পশুর হাট বসবে। এরমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনে বসবে ২১টি।
তিনি আরও বলেন, বাইরে থেকে যাতে পশু না আসে, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। চোরাই পথে যাতে না আসে সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক।
উল্লেখ্য, গত বছর সারা দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। তার মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি করা হয়েছিল।