হৃদরোগীদের জন্য করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম কমিয়েছে সরকার। সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, তিনটি কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে একটি স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে স্টেন্টভেদে দাম কমানো হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রজ্ঞাপনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী, মেডট্রনিক কম্পানির ‘রিজলিউট অনিক্স’ স্টেন্টের আগের দাম ছিল ১,৪০,৫০০ টাকা, যা কমিয়ে ৯০ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোস্টন সায়েন্টিফিক কম্পানির ‘প্রোমাস এলিট’ স্টেন্টটি আগে ৭৯,০০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ৭২,০০০ টাকা। একই কম্পানির ‘প্রোমাস প্রিমিয়ার’ স্টেন্টের দাম ৭৩,০০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৭০,০০০ টাকা করা হয়েছে।
সিনার্জি সিরিজের তিনটি স্টেন্টের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে ‘সিনার্জি এক্সডি’ স্টেন্টে, যার আগের দাম ছিল ১,৮৮,০০০ টাকা। নতুন দামে এটি এখন বিক্রি হবে ১,০০,০০০ টাকায়।
অন্যদিকে ‘সিনার্জি’ ও ‘সিনার্জি শিল্ড’ স্টেন্ট দুটির দাম কমিয়ে যথাক্রমে ৯০,০০০ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১,১৭,০০০ ও ১,২০,০০০ টাকা।
অ্যাবট কম্পানির ‘জায়েন্স প্রাইম’ স্টেন্টের দাম ছিল ৬৬,৬০০ টাকা, যা কমিয়ে ৫০,০০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘জায়েন্স এক্সপেডিশন’ স্টেন্টের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি, এটি আগের মতোই ৭১,৫০০ টাকায় বিক্রি হবে।
তবে ‘জায়েন্স আলপাইন’ এবং ‘জায়েন্স সিয়েরা’ স্টেন্ট দুটির দাম ছিল যথাক্রমে ১,৪০,৫০০ এবং ১,৪০,০০০ টাকা, যা কমিয়ে ৯০,০০০ টাকায় আনা হয়েছে।
এ ছাড়াও মেডট্রনিক কম্পানির আরেকটি স্টেন্ট ‘অনিক্স ট্রুকর’ আগে বিক্রি হতো ৭২,৫০০ টাকায়। এখন সেটি পাওয়া যাবে ৫০,০০০ টাকায়।