সমশের মবিন চৌধুরী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার

0
100
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েই দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে এসেছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। সমশের মবিন চৌধুরী তৃণমূল বিএনপির চেয়ার‍ম্যান আর তৈমুর দলটির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদাকে দলটির নির্বাহী চেয়ারপারসন নির্বাচিত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিলে দলটির ২৭ সদস্যের আংশিক কমিটি নির্বাচন করা হয়। সমশের মবিন চৌধুরী বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। আর তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

আজ তৃণমূল বিএনপির সম্মেলনে যোগ দিয়ে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, দল পরিবর্তন হলেও তাঁর রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিবর্তন হয়নি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, তৃণমূল বিএনপি একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল। এই দলের চিন্তাভাবনা নিজেদের। এটি ‘কিংস পার্টি’ নয় এটি জনগণের পার্টি। কিংস পার্টি গঠিত হয়েছিল এক–এগারোর সময়।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি তাঁকে বহিষ্কার করার পর দেড় বছর অপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হবে না। এখানে কাউকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করা হবে না। তিনি বলেন, দলে আলোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে অন্তরা সেলিমা হুদা বলেন, তাঁরা আশা করেন সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে তৃণমূল বিএনপি শক্তিশালী ও গতিশীল হবে।

তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা। তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন। পরে সেই দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। এরপর ‘তৃণমূল বিএনপি’ গঠন করেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। কমিশন তখন তাদের নিবন্ধন দেয়নি। পরে দলটি আদালতের দ্বারস্থ হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ফেব্রুয়ারিতে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয় ইসি। নিবন্ধন পাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় নাজমুল হুদা মারা যান। পরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। আজ দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.