প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীও মনোনয়ন করেছেন। তিনি নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সৌদি আরবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়াং-হিয়াককে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
সামরিক আইন জারির দায় মাথায় নিয়ে গত বুধবার পদত্যাগ করেন কিম। তার আগের দিন মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে হঠাৎ করে দেশে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন।
প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর স্থানীয় সময় আগামী শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে স্থানীয় পত্রিকা চুসান ইলবো।
সেনারা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকেও পড়ছিলেন। তবে আইনপ্রণেতারা তাঁদের রুখে দেন। সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষোভের মুখে তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইউন।
কিমের পরামর্শেই ইউন সামরিক আইন জারি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে, দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কিম।
মনোনীত নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চোই সম্পর্কে ইউনের চিফ অফ স্টাফ চাং জিন-সুক বলেন, ‘চোই একজন নীতিবান ব্যক্তি যিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রবিধান মেনে চলেন।’
এ দিকে, সামরিক আইন জারির জেরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া। অভিশংসনের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন। ছয়টি দল নিয়ে গঠিত বিরোধী দলগুলোর একটি জোট বুধবার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন চেয়ে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন জারিকে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ বলে বর্ণনা করেছে। দলটি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর স্থানীয় সময় আগামী শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। স্থানীয় পত্রিকা চুসান ইলবো বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ।