দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইয়েওনপিয়েওং দ্বীপের দিকে ২০০টির বেশি কামানের গোলা ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে গোলাগুলো ছোড়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আজ ছোড়া গোলাগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি। সেগুলো দুই দেশের মধ্যবর্তী বেসামরিক অঞ্চলে পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে সিউল। একে ‘উসকানিমূলক পদক্ষেপ’ বলেছে তারা।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার গোলা নিক্ষেপের পর ইয়েওনপিয়েওং দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এর আগে ২০১০ সালে দ্বীপটিতে বেশ কয়েকবার গোলা হামলা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।
আজকের গোলা নিক্ষেপের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ থেকে জানানো হয়েছে, গোলায় দেশটির সামরিক বাহিনী বা মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এতে করে কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি হুমকিতে পড়েছে এবং উত্তেজনা বেড়েছে।
এমন সময় উত্তর কোরিয়া থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হলো, যখন কিছুদিন আগেই পিয়ংইয়ং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য দেশটির সামরিক বাহিনী অস্ত্রাগার তৈরি করছে। কোরীয় উপদ্বীপে ‘যেকোনো সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে’ এই যুদ্ধ।
কয়েক মাস ধরেই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নতুন করে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে করা একটি সামরিক চুক্তি থেকে সরে গেছে পিয়ংইয়ং। গত নভেম্বরে উত্তর কোরিয়ার সফলভাবে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দাবির পর থেকে ওই চুক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।