আগামী মে মাসে থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা (৩৬)।
রাজনীতিতে তাঁদের পরিবারের রয়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। অতীতে নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাঁদের দল ক্ষমতায় এসেছে। পরিবার ও দলের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন নির্বাচনে জিততে চান তিনি ও তাঁর দল। তাঁকে ঘিরেই এখন আবর্তিত হচ্ছে ফিউ থাই দলের রাজনীতি। শ্রমজীবী মানুষের ভোটে দলটি আবার আসতে চায় থাইল্যান্ডের ক্ষমতার মসনদে।
সিনাওয়াত্রা পরিবারের রাজনৈতিক দল ফিউ থাইয়ের শক্তিশালী ঘাঁটি গ্রামীণ এলাকায় ক্লান্তিহীন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন পেতংতার্ন। আশা করছেন, বাবা থাকসিন ও ফুফু ইংলাক যেভাবে অভূতপূর্ব জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন, তাঁকেও জনগণ সেভাবে গ্রহণ করবে।
এ নিয়ে প্রথমবারের মতো রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পেতংতার্ন। তিনি বলেন, আমাদের দল ক্ষমতার প্রথম বছরে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেছিল। কিন্তু ক্ষমতার চার বছরের মাথায় ক্ষমতা থেকে আমাদের উৎখাত করা হয়েছে। ফলে আমরা সব লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি।
সুতরাং এখন প্রতিটি পর্যায়ে জনগণকে আমাদের বোঝাতে হচ্ছে- আমাদের নীতি তাদের জীবনযাত্রায় কী ধরনের পরিবর্তন আনবে। একমাত্র স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ মানুষের জীবনযাত্রায় টেকসই পরিবর্তন আনতে পারে। ২০০১ সাল থেকে তিন দফায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ফিউ থাই যেসব কাজ শেষ করতে পারেনি, এবার তিনি সেগুলো শেষ করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।