নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বুধবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশ হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। সংঘর্ষে মকবুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হন। আহত হন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক। এ ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালেও নয়াপল্টনে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় (সকাল সোয়া ৯টা) বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আরামবাগ মোড় ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো ব্যারিকেট দেখা গেছে। পরিচিতি নিশ্চিত না হয়ে কাউকে এখান দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না। যানবাহন ও সাধারণ মানুষ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাতায়াত করছেন না।
এ অঞ্চলের বাসিন্দারা যাতায়াতে সমস্যা পড়েছেন। গতকালে ঘটনার পর থেকে তারা কিছুটা আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান। সকাল সোয়া নয়টা পর্যন্ত পল্টন এলাকার কোনো অফিস ও দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি।
এদিকে, আজ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশস্থল নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ না করার ব্যাপারে অনড়। তবে বিকল্প স্থান হিসেবে তারা আরামবাগ, জাতীয় ঈদগাহে যেতে রাজি। তবে সরকার বলে আসছে, কোনোভাবে রাস্তার ওপর বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। সোহরাওয়ার্দীর বিকল্প হিসেবে তারা উন্মুক্ত কোনো মাঠ চাইলে দেওয়া হবে। সমাবেশের স্থান নিয়ে দুইপক্ষ ভিন্ন মেরুতে অবস্থানের মধ্যে নয়াপল্টনে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও শনিবার নয়াপল্টনে গণসমাবেশ করার ব্যাপারে অনড় ছিলেন নেতারা।