তৈরি পোশাক আমদানি প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

0
151
পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকেরা

চলতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড। ফলে এই বাজারে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। এই পাঁচ দেশের মধ্যে চীন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি বেশি কমেছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য মিলেছে। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে ২ হাজার ৫২১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনাই এই আমদানি প্রায় ২২ দশমিক ১৫ শতাংশ কম। গত বছর এই সময়ে ৩ হাজার ২৩৯ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড।

অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ৪৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। গত বছর একই সময়ে দেশটির রপ্তানি ছিল ৬৬৯ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চীনে রপ্তানি কমেছে ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এই সময়ে ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ৪৩৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। গত বছরের একই সময়ে তাদের রপ্তানি ছিল ৬০১ কোটি ডলার।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এই বাজারে ৯৭২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। তার বিপরীতে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে রপ্তানি হয়েছে ২৭০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছিল ৩২৮ কোটি ডলারের পোশাক।

অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৭৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে ভারত। দেশটির রপ্তানি কমেছে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইন্দোনেশিয়ার তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দেশটি রপ্তানি করেছে ১৫১ কোটি ডলারের পোশাক।

গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়তে থাকে। গত বছরের জুনে দেশটির মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়ায়, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে নিত্যপণ্য ও জ্বালানি ছাড়া অন্যান্য পণ্য কেনা কমিয়ে দেন দেশটির ভোক্তারা। যদিও দেশটির মূল্যস্ফীতি কমে আসছে। গত এপ্রিলে তাদের মূল্যস্ফীতি কমে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়ায়। ফলে আগামী গ্রীষ্ম মৌসুম থেকে দেশটি থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ আসা বাড়তে পারে বলে ধারণা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.