তিস্তায় একের পর এক বাঁধ নির্মাণ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনের নেত্রী ও সমাজকর্মী মেধা পাটেকর। শনিবার (২৯ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় ‘বিপন্ন তিস্তা’ শিরোনামে নাগরিক সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা নদীর পাড় ধরে ডুয়ার্সের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার আশপাশে জঙ্গল কেটে গড়ে উঠেছে একাধিক আবাসন প্রকল্প। প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রমীরা। তাদের ডাকে জলপাইগুড়িতে আসেন মেধা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভিমুখ’র উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সভায় আবাসন প্রকল্পের বিরোধিতার পাশাপাশি তিস্তা ইস্যুতেও কথা বলেন তিনি।
মেধা বলেন, নদী হলো ইকোলজিকাল সিটিজেন। তারও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু তিস্তার দুই পাড়ের পরিস্থিতি দেখে আমি আতঙ্কিত।
তিনি বলেন, সিকিমে ও পশ্চিমবঙ্গে তিস্তার ওপর একের পর এক বাঁধ দিয়ে তিস্তার গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে। গ্লাসকোতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি দেন, আর প্যারিস থেকে ফিরেই খনিজসম্পদের খনি দিয়ে দেওয়া হয় প্রাইভেট কোম্পানিকে। যাদের কাছে মানুষের থেকে মুনাফাই বড় তারা কখনোই পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীল বনসল, অধ্যাপক ও নদী বিশেষজ্ঞ রূপক পাল, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেব প্রসাদ রায়, সিকিমের নদী আন্দোলনের নেতা রিভার ম্যান গেমসো ডি লেপচা-সহ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের স্বেচ্ছাসেবীরা। আলোচনা সভায় তিস্তার সৃষ্টি থেকে পাদদেশে বিচরণ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।