আগামী তিন মাসের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো যাচাইয়ের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা। তিনি বলেন, যাচাইয়ের মাধ্যমে ভবনগুলোর মূল্যায়ন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ভূমিকম্প-ঝুঁকিতে ঢাকা, গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যাচাইয়ের জন্য তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তৃতীয় পক্ষ নির্বাচনের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি হবে, যাদের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে। কারণ, তৃতীয় পক্ষ নির্বাচনে প্রশ্নের মুখোমুখি হলে সব ভন্ডুল হয়ে যাবে।
অনেকগুলো তৃতীয় পক্ষ হবে জানিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, যাচাইয়ের মাধ্যমে তারা ভবনগুলোর মূল্যায়ন করবে; কোনগুলো ভাঙা হবে এবং কোনগুলো পুনরায় রেট্রোফিটিং (সংস্কার) করা যাবে। এসব নিয়ে তারা প্রতিবেদন দেবে।
আনিছুর রহমান মিঞা জানান, নতুন ভবন করার সময় নিয়মের যেন ব্যত্যয় না ঘটে, সে জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার বা বসবাস সনদ) আছে কি না, তা দেখা হবে। এটা ছাড়া নতুন ভবন করার সময় বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগ পাবে না। সেটা রাজউকসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে।
হাতিরঝিল এলাকার মালিকেরা কিছুটা প্লট ছেড়ে দিলে আরও একটি সার্ভিস লেন করে দেওয়া যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ, অনেকেই বাড়ি বানাতে পারছেন না। তাঁদের নিয়ে রাজউক বসবে।


















